ভেনিজুয়েলার নিকোলাস মাদুরে সরকার ও বিরোধী দলের নেতারা একটি ‘সামাজিক চুক্তিতে’ স্বাক্ষর করেছেন। দেশের জনগণকে মানবিক সহায়তা দেওয়ার জন্য এই চুক্তিতে স্বাক্ষরের পরেই দেশটির তেলে নিষেধাজ্ঞা শিথিল করেছে যুক্তরাষ্ট্র। খবর আল-জাজিরার।
শনিবার মেক্সিকো শহরে এই চুক্তিতে স্বাক্ষর করে ভেনিজুয়েলার প্রধান দুই রাজনৈতিক দল।
প্রেসিডেন্ট মাদুরে সরকারের পক্ষ থেকে প্রতিনিধি দল ও যুক্তরাষ্ট্র সমর্থিত বিরোধী দলের জুয়ান গডিও এই চুক্তিতে স্বাক্ষর করেন। এরপরেই দেশটির জ্বালানিতে নিষেধাজ্ঞা শিথিল করার ঘোষণা দেয় মার্কিন ট্রেজারি ডিপার্টমেন্ট। এতে করে দক্ষিণ আমেরিকার দেশটিতে চলমান সংকট কিছুটা প্রশমন পাবে বলে আশা করা হচ্ছে।
এক বিবৃতি যুক্তরাষ্ট্রের ট্রেজারি ডিপার্টমেন্ট জানায়, ভেনিজেুয়েলার গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারে একটি সঠিক পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া সীমিত আকারে তেল উত্তোলনের জন্য ফের শেভরনকে লাইসেন্স দেওয়া হয়েছে।
বিবৃতিতে আরও বলা হয়, শেভরনকে দেওয়া লাইসেন্স ছয় মাস নাগাদ কার্যকর থাকবে। এই সময়ে বাইডেন প্রশাসন মাদুরে সরকারের প্রতিশ্রুতি মূল্যায়ন করবে।
ভেনিজুয়েলায় তেলের মজুদ আছে ৩২০.৮২ বিলিয়ন ব্যারেল। যা বিশ্বের মোট মজুদের প্রায় ১৮ ভাগ।
ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধের পর থেকেই বিশ্ব বাজারে জ্বালানি তেলের দাম বেড়ে যায়। কমে যায় সরবরাহ। এমতাবস্থায় ভেনিজুয়েলার সংকট সমাধানের আন্তর্জাতিক প্রচেষ্টা জোরদার হয়েছে।
কানাডা, যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য ও ইউরোপীয় ইউনিয়ন এক যৌথ বিবৃতিতে জানায়, ভেনিজুয়েলার বিরুদ্ধে দেওয়া নিষেধাজ্ঞা পর্যালোচনা করা হবে। তবে দেশটির সরকারকে রাজনৈতিক বন্দিদের মুক্তি দিতে হবে। সংবাদপত্রের স্বাধীনতাকে সম্মান করতে হবে। বিচার বিভাগ ও নির্বাচনী সংস্থাগুলোকে স্বাধীনতার নিশ্চয়তা দিতে হবে।
তবে ডেমোক্র্যাট নেতা ও সিনেটের বৈদেশিক সম্পর্ক কমিটির চেয়ারম্যান রবার্ট মেনেনডেজ বলেন, ‘ভেনিজুয়েলা ইস্যুতে বাইডেন প্রশাসনকে ধীরে ধীরে সামনের দিকে অগ্রসর হওয়া উচিত। ’